Practicing Halal and Haram Nowadays:

In Islamic law, "halal" refers to things that are permissible, clean, and pure, including certain foods, actions, and practices. In contrast, "haram" refers to things that are considered unacceptable and forbidden, primarily actions, habits, and dietary choices. It is the responsibility of each individual to make their own decisions about these matters, rather than relying solely on halal and haram guidelines set by others. Muslim and Islamic countries observe halal practices and avoid haram acts by following traditional principles and adapting to modern realities. The emphasis is on ensuring ethical compliance, transparency, and adherence to religious teachings that have evolved in response to technology, globalization, and social change.

In modern Islamic life, both individuals and countries are encouraged to adhere to halal and haram practices as part of following Islamic law. However, the application of these concepts varies depending on personal beliefs, cultural influences, and national policies. While it is essential to pay attention to what is considered halal and what is haram, here are the main aspects of how these practices are observed in modern society:

Ways to Understand How Islamic Individuals and Countries Practice Halal and Haram Nowadays:

A study by George Washington University professor Hussein Askari ("How Islamic are Islamic Countries") found that there are some Islamic countries where people claim to follow the teachings of Islam in their daily lives. Following these religious rules does not necessarily mean that people are true believers in Islam. However, most countries that apply "Islamic principles" in their daily lives are not traditionally Muslim.

Recent research indicates that the country with the highest proportion of traditionally Muslim people is New Zealand, followed by Luxembourg, Ireland, Iceland, and Finland. Denmark is ranked 6th, and Canada is ranked 7th. Malaysia is ranked 36th, Kuwait is ranked 46th, and Bahrain is ranked 74th. Saudi Arabia is ranked 131st, and Bangladesh is at the bottom of the list.

Research has shown that Muslims are generally well-versed in Islamic customs such as prayer, fasting, Sunnah, Quran, Hadith, halal and haram food, hijab, beard, and appropriate clothing. However, it has also been found that many Muslims do not strictly adhere to Islamic rules and regulations, including laws related to halal and haram, in their personal and social lives, as well as at the state level. Although Muslims listen to the most knowledgeable religious lectures and sermons in the world, no Muslim-majority country has been recognized as the best state in the world.

Chinese businessmen say that Muslim businessmen bring them orders to manufacture counterfeit products, requesting that these products be labeled as products of a well-known company. However, when Chinese businessmen invite Muslim businessmen to dine with them, they refuse, saying that the food is not halal. This situation raises the question of whether selling counterfeit products is considered halal!

A new Muslim in Japan said, “I have seen non-Muslims practicing Islam in the West, and I have seen Islam in the East, but there are no Muslims here. Alhamdulillah, I have understood the difference between Islam and cultural practices, and I have sincerely embraced the religion of Allah.”

Islam involves observing religious obligations such as praying and fasting, living a good life, not lying, and being kind to others. However, a person who thinks he is pious by praying and fasting can still be considered a hypocrite in the eyes of Allah.

The Messenger of Allah (peace and blessings of Allah be upon him) warned that there will be some people who fast, pray, perform Hajj, and give charity, yet they will go to Hell on the Day of Judgment. These are people who have corrupted their souls, hoarded wealth, deprived others of their rights, and oppressed their fellow human beings. Despite their outward religious practices, they will find themselves empty-handed on the Day of Judgment.

Islam has two essential elements: the public declaration of faith, known as 'Iman', and the practice of faith, known as 'Ihsan'. Ihsan is achieved by following just and proper social norms. It is important to remember that Islam is incomplete unless both Iman and Ihsan are observed together, which is evident in every Muslim country today.

Obeying religious prohibitions is the responsibility of an individual, as it is a personal matter between them and Allah. However, following social norms involves relationships between individuals in society. If Muslims fail to follow Islamic principles in their daily lives, it can lead the Muslim community to corruption and inhumanity, which could lead to a dishonorable future for all of us. Lord Bernard Shaw said, "Islam is the best religion on earth, and Muslims are the worst followers." (Collected)

আজকাল হালাল ও হারামের অনুশীলন:

ইসলামী আইনে, "হালাল" বলতে এমন জিনিস বোঝায় যা অনুমোদিত, পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ, যার মধ্যে কিছু খাবার, কাজ এবং অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত। বিপরীতে, "হারাম" বলতে এমন জিনিস বোঝায় যা অগ্রহণযোগ্য এবং নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে কাজ, অভ্যাস এবং খাদ্যতালিকাগত পছন্দ। কেবলমাত্র অন্যদের দ্বারা নির্ধারিত হালাল ও হারাম নির্দেশিকাগুলির উপর নির্ভর না করে, এই বিষয়গুলি সম্পর্কে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব। মুসলিম এবং ইসলামী দেশগুলি হালাল অনুশীলনগুলি পালন করে এবং ঐতিহ্যবাহী নীতিগুলি অনুসরণ করে হারাম কাজগুলি এড়িয়ে চলে এবং আধুনিক বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন এবং সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় বিকশিত হওয়া ধর্মীয় শিক্ষার নীতিগত সম্মতি, স্বচ্ছতা এবং আনুগত্য নিশ্চিত করার উপর জোর দেওয়া হয়।

আধুনিক ইসলামী জীবনে, ব্যক্তি এবং দেশ উভয়কেই ইসলামী আইন অনুসরণের অংশ হিসাবে হালাল এবং হারাম অনুশীলনগুলি মেনে চলতে উত্সাহিত করা হয়। যাইহোক, এই ধারণাগুলির প্রয়োগ ব্যক্তিগত বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং জাতীয় নীতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হচ্ছে । যদিও কোনটি হালাল এবং কোনটি হারাম বলে বিবেচিত হয় সেদিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, তবুও আধুনিক সমাজে এই অনুশীলনগুলি কীভাবে পালন করা হয় তার প্রধান দিকগুলি এখানে দেওয়া হল:

আজকাল ইসলামিক ব্যক্তি এবং দেশগুলি কীভাবে হালাল এবং হারাম অনুশীলন করে তা বোঝার উপায়

জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুসেন আসকারির এক গবেষণায় ("ইসলামিক দেশগুলি কতটা ইসলামিক") দেখা গেছে যে এমন কিছু ইসলামী দেশ রয়েছে যেখানে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের শিক্ষা মেনে চলার দাবি করে। এই ধর্মীয় নিয়মকানুন অনুসরণ করলেই যে ব্যক্তিরা ইসলামে প্রকৃত বিশ্বাসী তা বোঝা যায় না। তবে, বেশিরভাগ দেশ যারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে "ইসলামিক নীতি" প্রয়োগ করে তারা ঐতিহ্যগতভাবে মুসলিম নয়।

সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত করে যে ঐতিহ্যগতভাবে মুসলমানদের সর্বোচ্চ অনুপাতের দেশ নিউজিল্যান্ড, তারপরে লুক্সেমবার্গ, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং ফিনল্যান্ড। ডেনমার্কের অবস্থান ৬ষ্ঠ, কানাডা ৭ম স্থানে রয়েছে। মালয়েশিয়া 36 তম, কুয়েত 46 তম এবং বাহরাইন 74 তম স্থানে রয়েছে। সৌদি আরবের অবস্থান ১৩১তম এবং বাংলাদেশ তালিকার নীচে রয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে মুসলমানরা সাধারণত নামাজ, রোজা, সুন্নাহ, কুরআন, হাদিস, হালাল ও হারাম খাবার, হিজাব, দাড়ি এবং উপযুক্ত পোশাকের মতো ইসলামী রীতিনীতি সম্পর্কে সুপরিচিত। তবে, এটাও দেখা গেছে যে অনেক মুসলমান তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে, পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও হালাল ও হারাম সম্পর্কিত আইন সহ ইসলামিক নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলে না। যদিও মুসলিমরা বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী ধর্মীয় বক্তৃতা এবং খুতবা শোনে, তবুও কোনও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বিশ্বব্যাপী সেরা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।

চীনা ব্যবসায়ীরা বলে যে মুসলিম ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে নকল পণ্য তৈরির আদেশ নিয়ে আসে, অনুরোধ করে যে এই পণ্যগুলিকে একটি সুপরিচিত কোম্পানির পণ্য হিসাবে লেবেল করা হোক। যাইহোক, যখন চীনা ব্যবসায়ীরা মুসলিম ব্যবসায়ীদের তাদের সাথে খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানায়, তখন তারা অস্বীকার করে, বলে যে খাবারটি হালাল নয়। এই পরিস্থিতি নকল পণ্য বিক্রি করা হালাল বলে বিবেচিত হয় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আসে!

জাপানে একজন নতুন মুসলিম বলেন, "আমি পশ্চিমে অমুসলিমদের ইসলাম পালন করতে দেখেছি এবং পূর্বে ইসলাম দেখেছি, কিন্তু এখানে কোনও মুসলিম নেই। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ইসলাম এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলনের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পেরেছি এবং আমি আন্তরিকভাবে আল্লাহর ধর্ম গ্রহণ করেছি।"

ইসলামে নামাজ এবং রোজা রাখার মতো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা পালন করা, ভালো জীবনযাপন করা, মিথ্যা না বলা এবং অন্যদের সাথে সদয় আচরণ করা জড়িত। তবে, যে ব্যক্তি নামাজ এবং রোজা রেখে ধার্মিক বলে মনে করে তাকে এখনও আল্লাহর দৃষ্টিতে মুনাফিক হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, এমন কিছু ব্যক্তি থাকবে যারা রোজা রাখবে, নামাজ পড়বে, হজ্জ করবে এবং দান করবে, তবুও তারা কিয়ামতের দিন জাহান্নামে যাবে। এরা এমন লোক যারা নিজেদের আত্মাকে কলুষিত করেছে, সম্পদ জমা করেছে, অন্যদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে এবং তাদের সহ-মানবদের উপর অত্যাচার করেছে। তাদের দৃশ্যমান ধর্মীয় রীতিনীতি সত্ত্বেও, কিয়ামতের দিন তারা নিজেদেরকে খালি হাতে পাবে।

ইসলামের দুটি অপরিহার্য উপাদান রয়েছে: 'ঈমানের প্রকাশ্য ঘোষণা, যা 'ঈমান' নামে পরিচিত, এবং 'ঈমানের অনুশীলন, যা 'ইহসান' নামে পরিচিত। ন্যায়সঙ্গত ও সঠিক সামাজিক রীতিনীতি অনুসরণ করে এহসান অর্জন করা যায়। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ঈমান এবং এহসান উভয়ই একসাথে পালন না করা পর্যন্ত ইসলাম অসম্পূর্ণ, যা আজ প্রতিটি মুসলিম দেশে সুস্পষ্ট।

ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা একজন ব্যক্তির দায়িত্ব, কারণ এটি তাদের এবং আল্লাহর মধ্যে একটি ব্যক্তিগত বিষয়। তবে, সামাজিক রীতিনীতি অনুসরণের সাথে সমাজের ব্যক্তিদের মধ্যে সম্পর্ক জড়িত। যদি মুসলমানরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামী নীতিমালা পালন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এটি মুসলিম সম্প্রদায়েকে দুর্নীতি এবং অমানবিকতার দিকে পরিচালিত করতে পারে, যার ফলে আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ অসম্মানজনক হয়ে উঠতে পারে। লর্ড বার্নার্ড শ বলেছেন, "ইসলাম হল পৃথিবীর সর্বোত্তম ধর্ম, এবং মুসলমানরা হল সবচেয়ে নিকৃষ্ট অনুসারী।" (সংগৃহীত)